কালুক – রূপকথার দেশ
অন্য রকম জায়গা খুঁজতে গিয়ে সিকিমের ম্যাপে চোখে পড়ল কালুক। রিচেনপং থেকে ২কিমি আর শিলিগুড়ি থেকে ১১৮ কিমি। সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হল এবার সিকিমে আমাদের গন্তব্য কালুক। হাতে সময় চারদিন, তাই দুদিন থাকা হবে কালুকে আর দুদিন অন্য কোথাও। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ট্রেনের টিকেট কেটে হোটেল বুক করে অপেক্ষা যাত্রা শুরুর। ডিসেম্বর এর এক রাত্রে আমরা চড়ে বসলাম দার্জিলিং মেলে – পরের দিন সকাল বেলায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। আকাশ ঝকঝকে নীল আর স্টেশন থেকেই দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার, যে সৌভাগ্য প্রতিবার হয় না। একটা টাটা সুমো ভাড়া করে আমরা চললাম কালুকের দিকে। পাহাড়ি রাস্তায় প্রতি বাঁকেই থাকে মন ভালো করা কিছু দৃশ্য। রাস্তায় দুপুরের খাওয়া সেরে আমরা কালুকে পৌঁছলাম তিনটের সময়। অপূর্ব বললে কম বলা হবে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। হোটেলের ঘর থেকেই দেখা যাচ্ছে দুধ সাদা বরফাবৃত পাহাড়ের চূড়া। ধীরে ধীরে সন্ধে নেমে এল কিন্তু পাহাড় আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল না। চাঁদের আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করল। এ দৃশ্য লিখে বা বলে বোঝানোর নয়। পরের দিন ভোর থেকে পাহাড়ের রঙ বদলানো উপভোগ করতে লাগলাম। একটু বেলা বাড়তে একটা গাড়ি ভাড়া করা হল আশে পাশের জায়গা গুলো একটু ঘুরে নিতে। কাছেই রিচেনপং মনাস্ট্রি । আমরা আরও গেলাম একটি ওয়াইন তৈরির বাগানে – আজিং মডেল ফার্ম। সেই দিনটা কালুকে কাটিয়ে পরের দিন আমরা রওনা দিলাম সিকিমের আর একটি গ্রামের উদ্দেশ্যে। কোথায় যাচ্ছি সে নাহয় পরের দিন লিখবো।